শিক্ষার্থীদের মেস ছাড়ার নির্দেশ

বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের মেস ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করো’নাভাই’রাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি ও সার্বিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে জে’লা প্রশাসন। এদিকে দ্রুত মেস ছাড়ার সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার সকাল থেকে বগুড়ার সেউজগাড়ি, জামিলনগর, সবুজবাগ, জহুরুলনগর, পুরান বগুড়া, কামা’রগাড়িসহ অন্যান্য এলাকায় পু’লিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের মেস ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।

মেসে থাকা আতিকুর রহমান আতিক জানান, ৮ এপ্রিল সকালের মধ্যে মেস ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সুপ্রিয়া সরকার নামে একজন শিক্ষার্থী জানান, মেস ছাড়ার নির্দেশনা পেয়েছি। তবে সকল পরিবহন বন্ধ থাকায় গ্রামের বাসায় যাওয়া নিয়ে বিপদে পড়েছি।

এদিকে সিরাজ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষার্থীদের মেস ছাড়ার কথা বলে হয়েছে। কিন্তু বাসায় থাকলেও মেস ভাড়া আমাদের দিতে বিপাকে পড়তে হয়। তাই মেস মালিকদের মেস বন্ধের নির্দেশনা দিলে আমাদের আর ভাড়া দিতে হতো না।

মেস বন্ধের নির্দেশনার ব্যাপারে জে’লা পু’লিশের সদর সার্কেলের অ’তিরিক্ত পু’লিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানান, দেশে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। করো’নার সংক্রমণও বৃদ্ধি পেয়েছে। লকডাউনও ঘোষণা করেছে সরকার। মূলত সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই শিক্ষার্থীদের দ্রুত মেস ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বগুড়ার জে’লা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেকই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।